Thursday, October 4, 2018

এই আবিষ্কার সম্পর্কে জানলে আপনার চোখ কপালে উঠবে

হেলো বন্ধুরা,প্রতিনিয়ত আমাদের জীবনকে আরো সহজ করার জন্য নতুন কিছু না কিছু আবিষ্কার হয়েই চলেছে। তবে এই অসংখ্য আবিষ্কারের মধ্যে কিছু আবিষ্কার এমন যে, যা আমাদের ক্ষতিও করতে পারে। তো বন্ধুরা, আজকের টিউটোরিয়ালে আমরা এমন কিছু সম্পর্কে দেখতে চলেছি, যা আবিষ্কার করার পর পরই ব্যান্ড করা হয়েছে।
তো স্বাগতম DarkZoon টিউটোরিয়ালে।

ইলেকট্রিক ব্রাংকেট

শীত প্রধান দেশে ইলেকট্রিক ব্রাংকেট খুবই জনপ্রিয়। কারন এগুলোতে টেম্পারেচার ম্যানুয়ালি সেট করা থাকে। আলাদা করে তাপ কমানো বাড়ানোর সিস্টেম আছে। কিন্তু এগুলোকে ওয়াসিং মেশিনে ধোয়া যায়। কিন্তু এত কিছু সুবিধা থাকার পরও কেন এই আবিষ্কার ব্যান্ড করা হইছে। কম্বলের ভিতরে থাকা ইলেকট্রিক মেটেরিয়াল ও অতিরিক্ত গরম ব্যাবহার কারীদের দুশ্চিন্তায় ফেলে। usa প্রতি বছর ৫০০০ এর বেশি অগ্নি দুর্ঘটনা হয়। যার অধিকাংশ ঘটনা ঘটে ইলেকট্রিক কাপুরের নিয়মাবলি না মেনে চলার কারনে। এটি ব্যবহার করলে শারিরিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধা ও ডাইবেটিক্স রোগিদের জন্য ইলেকট্রিক ব্রাংকেট অনেক ক্ষতি সাধিত করে, এ জন্য অনেক দেশে ইলেক্ট্রিক ব্রাংকেট ব্যান্ড করা হইয়েছে।

স্যামসাং গ্যালাক্সি নোট 7

আপনি যে ফোনটি দেখতে পাচ্ছেন এটা ২০১৬ সালের ২ এ আগস্ট বাজারে আসে। ওই বছরের ১৯ এ আগস্ট তারা অফিসিয়াল ভাবে তারা লন্স করে। এই ফোনটা পুর্বের ভার্সন থেকে একটু আলাদা ভাবে আবডেট করা হয়েছিল এবং এতে রান করা হইয়েছিল এন্ড্রয়েড 6.0.1  ways এবং এটি খুব পাওয়ার ফুল ছিল। কিন্তু ব্যবহারকারী রা কিছু সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিল। আর বেশ কিছু দেশে এটা কম্পলিটলি ব্যান করা হয়। আমেরিকায় স্যামসাং নোট ৭ ব্যান করার ব্যাপারে পেপার পত্রিকায় আপনারা হয়ত অনকেই দেখছেন। স্যামসাং তার এই ফোনের উৎপাদন বন্ধ করে দেয়। আর ফোন ইউজারদের বলা হয় ফোন off করে ব্যবহার বন্ধ করার জন্য। এর মধ্যে অনেক গুলো কারন জড়িত ছিল। তার মধ্যে প্রধান কারন গুলো হলো ফোন এক সময় গরম হয়ে যেত ও এক পর্যায়ে ধোয়া বের হতো। আর অনেকে দেশে এই ফোন ব্লাস্ট হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এর পেছনে ব্যাটারির ডিজাইনের গন্ডগোল থাকায় এ সমস্যাটি হয়ার কারন ছিল। যে ফোন টি হাডওয়ার এর সাথে ফোন টি এডজাস্ট হতে পারছে না। ভবিষ্যৎ এ এরকম ঘটনা যাতে আর না ঘটে সে জন্যে স্যামসাং নতুন ও উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করছে।

স্পাই কলম

কিছু দেশ এই গ্যাজেটের উপর খুবই সতর্ক। অর্থাৎ যা দিয়ে অন্যের উপর নজর দারি করা যায়। এখন আমরা উপরের চিত্রে দেখছি পেন ক্যামেরা। যা দিয়ে ফুল hd তে ভিডিও ও অডিও রেকর্ড করা যায়। আর এটি দেখতে কলমের মতো হয়ার কারনে তাই বাইরে থেকে বোঝা যায় না এর ভেতরে কি আছে। এর ভিডিও কোয়ালিটি এতই ভাল যে এটা দিয়ে ৩৫ পার সেকেন্ড সুট করা সম্ভব। আশে পাশে কি হচ্ছে বা কে কি করছে সব কিছুই রেকর্ড করা সম্ভব। যদিও এ ধরনের কলম অনেকের কাছেই দেখতে পাওয়া যায়। আপনি যদি এরকম স্পাই ডিভাইস নিয়ে ধরা পড়েন। তাহলে আপনাকে জেলে যেতে হবে।

ইসিগারেট

আপনি কি কখনো পাব্লিক প্রেসে অন্যের সিগারেট খাওয়ার জন্য বিরক্ত বোধ হইয়েছেন। তাহলে আপনার জন্য সু সংবাদ। আর সেটি হলো এটি অধিকাংশ দেশে ব্যান্ড করা হইয়েছে। বিশেষ করে ইলেকট্রিক সিগারেট।  বহিঃ বিশ্বে এর বহুত প্রচলন রইয়েছে। এগুলোর আবার আলাদা আলাদা প্রকারভেদ রইয়েছে। কিছু সিগারেটের স্বল্প পরিমানে নিকোটিন থাকে। আবার কোনোটিতে শুধু মাত্র ফ্লেভার দেওয়া থাকে। আসলে ইলেকট্রিক সিগারেট হলো সাধারন সিগারেট থেকে অনেক বেশি ক্ষতিকর। তবে কিছু কোম্পানি দাবি করেন যে,  এগুলোর মাধ্যমে আপনি নিকোটিন এডিকশন থেকে মুক্তি পাবেন। কিন্তু ২০০৮ সালের একটি ঘটনায় দেখা যায় তাদের কোন প্রমান ছিল না যার দ্বারা এটি প্রমান হয় এটি সিগারেটের নেশা কমাতে সাহায্য করে। তবে কিছু দেশে এটিকে ফেশান ট্রেড হিসাবে ব্যাবহার করা হচ্ছে। যাতে এর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায়। ২০০৯ সালের একটি গবেশনায় দেখা যায় বাজারে সিগারেট থেকে এ গুলো আরো বেশি ক্ষতিকর। কিন্তু অনেক কোম্পানি দাবি করে থাকেন তাদের প্রোডাক্ট সেইফ। কিন্তু এই পর্যন্ত কেউই প্রমান দিতে পারেনি তাদের এই প্রডাক্ট টি সেইফ।

লেজার পয়েন্টার

এটি গাড়ি দুর্ঘটনা ও বিমান দুর্ঘটনা পর্যন্ত ঘটাতে পারে। লেজার পয়েন্টার একটি সুক্ষ প্রোটেবল টুল। যা ভিজিবল রেঞ্জার মধ্যে সুক্ষ ইলেকট্রিক ম্যাগ্নেটিভ কম্পন সৃষ্টি করে। এদের মধ্যে সবচেয়ে রেয়ার হলো সবুজ পয়েন্টার। তাদের লেঞ্জ ৫১০-৫৩০ ন্যানো মিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। যা একটি মানুষের দেহের ক্ষতি করার জন্য যথেষ্ট। এ  ছাড়াও সবুজ রেজার পয়েন্টার অন্যদের থেকে অনেক বেশি উজ্জ্বল। এ কারনে লেজার পয়েন্টার এর ফিল্টার লাগানো থাকে। কিন্তু কম দামের লেজার পয়েন্টার এর ফিল্টার লাগানো থাকে না। তো আপনি যদি কারো চোখে এটা দির্ঘ সময় তাক করে থাকেন।  তাহলে তার চোখ নস্ট হয়ে যাবে। এ কারনে এই লেজার পয়েন্টার কে অনেক দেশেই ব্যান্ড করা হয়েছে। লেজার পয়েন্টার এর রশ্মি মারার কারনে ড্রাইভার বা পাইলট এর পাশাপাশি যাত্রিদের পর্যন্ত দুর্ঘটনা পর্যন্ত ঘটতে পারে। এ কারনে লেজার ব্যবহার করার জন্য আপনি জেলেও যেতে পারেন।

ব্লাকবেরি ফোন

সর্বপ্রথম ১৯৫৭ সালে ব্লাকবেরি ওয়ারলেস কমিউনিকেশন ফোন বাজারে আনে এবং অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠে। তাদের ফোনে দেওয়া প্রধান সুবিধার মধ্যে একটি ছিল কল্ট্রি কিবোর্ড এবং যা ডাটা এন্ট্রির কাজকে সহজ করে দেয়। আর বিভিন্ন ফরমেটের ডাটার মধ্যে কাজ করার সুবিধা দেয়। তবে এ সবের মধ্যে ব্লাকবেরির অন্যতম ফিচার ছিল হাই সিকিউরিটি।  এক ডিভাইস থেকে অন্য ডিভাইসে ডাটা এনক্রিপ করে ডাটা পাঠানো হয়। যা তারা ছাড়া আর কারো পক্ষে ওই সিকিউরিটি খোলা সম্ভব হতো না। এ কারনের কোম্পানি তাদের তথ্য আদান প্রদান ব্লাকবেরি ফোনের মাধ্যমে করে থাকত। যদিও হাই সিকিউরিটি সবার জন্য সুবিধা জনক নয়। তাই কিছু দেশ সিদ্ধান্ত নিলো ব্লাকবেরি ফোন তাদের দেশ থেকে ব্যান্ড করবে। এ সবের কারন ছিল হাই সিকিউরিটি এনক্রিপশন।যা আইনি বিভাগ ict বিষায়ক বিভাগে তাদের মেছেজ পড়তে দিত না বা তাদের উপর নজর দারি করতে দিত না।

তো বন্ধুরা, যদি  টিউটোরিয়াল ভাল লেগে থাকে তাহলে কমেন্ট করে জানাবেন এবং সাথেই থাকবেন পরবর্তি টিউটোরিয়াল দেখার জন্য।  তত দিন ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন এই কামনাই করি। ধন্যবাদ সবাইকে।